বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাটিরাঙ্গায় ‘ভাষা-সংস্কৃতি ও বই মেলা’র উদ্বোধন করেছেন খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ সাঈদ মোমেন মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালের দিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘ভাষা-সংস্কৃতি বই মেলা’র উদ্বোধন করেন তিনি।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ‘র সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারজানা আক্তার ববি, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা পলাশ কান্তি চাকমা ও মাটিরাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ মেলা বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতিকে একীভুত করবে উল্লেখ করে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ সাঈদ মোমেন মজুমদার বলেন, এ আয়োজন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধনকে সুদৃঢ় করবে। স্ব-স্ব ভাষা-সংস্কৃতির উন্মেষ ঘটাবে। এ আয়োজন সফল করার মধ্য দিয়েই শহীদ দিবসের চেতনাকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকেই আমাদের স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল। মুজিব বর্ষের প্রাক্কালে এবাবের ‘ভাষা-সংস্কৃতি ও বই মেলা’র পুরো আয়োজনে থাকবে আমাদের সাফল্য ও অর্জনকে তুলে দরার প্রয়াস। তিনি একুশের চেতনাকে ধারণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
‘ভাষা ও সংস্কৃতি মেলা’য় বাঙ্গালী, চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন ভাষাভাষিদের নিজস্ব ভাষা নিয়ে পৃথক পৃথক স্টল সাজানো হয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ ও এনজিও তাদের নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে স্টল সাজিয়েছে মেলা মাঠে। এ ছাড়াও স্থানীয় বই বিক্রেতারাও মেলার স্টলে নিয়ে এসেছে এবারের একুশে বই মেলায় প্রকাশিত নতুন নতুন বই।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গনমাধ্যমকর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদিন সকাল থেকে বিভিন্ন ভাষাভাষিদের সংস্কৃতি তুলে ধরাসহ বই মেলা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন মেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ। মেলা চলবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সূত্রঃ https://www.parbattanews.com
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস